২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা সিরিজ
আজকের বিষয়ঃ বাংলা [গদ্যাংশ]
২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা
বিষয়ে দীর্ঘ উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নাবলীর জন্য আশাপূর্ণা দেবীর লেখা জ্ঞানচক্ষু গল্পটি ভালো করে পড়বে। মনে রাখবে বাংলা গদ্যাংশ থেকে একটি দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী উত্তর করতে হয়। গদ্যাংশ থেকে দেওয়া দুটি প্রশ্নের মধ্যে যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর অনধিক ১৫০ টি শব্দের মধ্যে লিখতে হয়। নীচে জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে সম্ভাব্য প্রশ্ন ও তার নমুনা উত্তর দেওয়া হলো। তোমরা সকলে এই প্রশ্নগুলি ভালো করে প্রস্তুত করবে। গুছিয়ে সুন্দর করে লিখতে পারলে পূর্ণমান ৫ এর মধ্যে ৫ – ই তোমরা পেতে পারো। তবে মনে রাখবে বানান ভুল যেন না হয়। হাতের লেখা সুন্দর করার চেষ্টা করবে।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের সম্ভাব্য রচনাধর্মী প্রশ্নাবলী [প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫]
[০১] ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই’ – এখানে কার সঙ্গে কার তুলনা করা হয়েছে? উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর
উদ্ধৃত উক্তিটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই প্রবাদটির মাধ্যমে লেখিকা সূক্ষ্ম ও তাৎপর্যপূর্ণভাবে রত্ন-র সঙ্গে গুণ বা সৃষ্টির এবং জহুরি-র সঙ্গে সেই গুণের বা সৃষ্টির যথার্থ সমালোচকের তুলনা করেছেন।
'জ্ঞানচক্ষু' গল্পানুসারে, রত্ন হলো কিশোর তপনের লেখা গল্প 'প্রথম দিন'। এটি তপনের প্রথম সাহিত্য সৃষ্টি, তার প্রতিভার স্ফুরণ। অন্যদিকে জহুরি হলেন তপনের ছোটো মেসোমশাই, যিনি নিজে একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক এবং অধ্যাপক।
তপন মনে করেছিল যে, তার ছোটো মেসোমশাই একজন সাহিত্যিক হওয়ায় তার লেখার আসল মূল্য তিনিই বুঝবেন এবং এর যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারবেন।
আলোচ্য গল্পে তপন সাধারণ গৃহস্থ বাড়ির ছেলে। তার প্রথম গল্প 'প্রথম দিন' লেখা হলে পরিবারের আর সকলে সেটিকে স্রেফ ছেলেমানুষি বা কৌতুক হিসেবেই দেখে। একমাত্র লেখক মেসোমশাইয়ের সম্পর্কেই তার মনে এই বিশ্বাস জাগে যে, একজন সাহিত্যিক হিসেবে তিনিই তার লেখার মর্ম বুঝবেন এবং তার প্রতিভাকে সম্মান জানাবেন; কারণ, তিনিও সৃষ্টির আনন্দে অভ্যস্ত। মেসোমশাইয়ের হাতে গল্পটি তুলে দেওয়ার সময় তপনের এই মানসিকতাই প্রবাদটির মাধ্যমে ব্যক্ত হয়েছে।
এই উক্তিটি প্রকারান্তরে বোঝায় যে, কোনো কাজ বা সৃষ্টির সঠিক মূল্যায়ন পাওয়ার জন্য উপযুক্ত বিচারকের প্রয়োজন। অযোগ্যের হাতে পড়লে মূল্যবান রত্নও কেবল পাথর হিসেবেই গণ্য হয়। তেমনি, উপযুক্ত সমালোচক বা কদরকারীর কাছেই প্রকৃত শিল্পী বা লেখকের সৃষ্টি মর্যাদা লাভ করে।
সুতরাং, এই প্রবাদটি একাধারে তপনের সরল বিশ্বাস এবং শিল্পের মূল্যায়নের চিরায়ত নীতিকে তুলে ধরেছে।
[০২] ‘নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের’ – তপনের ‘জ্ঞানচক্ষু’ খোলার স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।
[০৩] ‘বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা’ – বিকেলে চায়ের টেবিলে কোন কথা ওঠে? সেই কথার প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
[০৪] ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে?’ – কোন ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলা হয়েছে? কেন বলা হয়েছে?
[০৫] ‘তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন’ – কোন দিন তপনের এমন মনে হয়েছিল? তার এমন মনে হওয়ার কারণ কী?
অথবা,
[০৬] নিজের লেখা ছাপা গল্পটি তপনের কাছে দুঃখবহ হয়ে উঠেছিল কেন, তা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অবলম্বণে আলোচনা করো।
