Madhyamik Pariksha 2021 (Bengali)
মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২১ (বাংলা)
বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী
প্রশ্নোত্তর
Madhyamik Pariksha 2021 (Bengali) মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২১ (বাংলা) বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী কয়েকটি
প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হলো। Madhyamik
Pariksha 2021 (Bengali) মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২১ (বাংলা) – মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এই প্রশ্ন দুটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
Madhyamik Pariksha 2021 (Bengali) মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২১ (বাংলা) বহুরূপী গল্পের MCQ, SAQ ও রচনাধর্মী প্রশ্নাবলীর জন্য নিচে দেওয়া
লিঙ্কগুলি ক্লিক করো। Madhyamik Pariksha 2021 (Bengali) মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২১ (বাংলা)।
_________________________________________________________________________
প্রশ্নঃ ‘বাঃ, এ তো বেশ মজার ব্যাপার’ – কোন ঘটনাকে মজার ব্যাপার বলা হয়েছে ? ঘটনাটি মজার কেন ?
[প্রশ্নমান ১ + ২ = ৩]
উত্তরঃ
বাংলা
গদ্যসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রত্ন সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্প থেকে গৃহীত প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে
জগদীশবাবুর বাড়িতে আগত হিমালয়বাসী সন্ন্যাসীর সোনার বোল লাগানো কাঠের খড়ম ও একশ’ টাকা দক্ষিণা গ্রহণের বিষয়টিকে হরিদা ‘মজার’ বলে উল্লেখ করেছেন।
গল্প
থেকে জানা যায়, এই সন্ন্যাসী
হিমালয়বাসী, তাঁর বয়স নাকি হাজার বছরের বেশি।
সর্বস্বত্যাগী এই সন্ন্যাসী সারাবছরে শুধু একটি মাত্র হরিতকি খান। তিনি এতটাই
উঁচুদরের যে কাউকে তাঁর পদধূলি গ্রহণ করতে দেন না।
জগদীশবাবু
তাঁর কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে পায়ের সামনে ধরলে সন্ন্যাসী পা এগিয়ে দিয়েছিলেন।
এইভাবে একমাত্র জগদীশবাবুই তাঁর পদধূলি লাভে সক্ষম হয়েছিলেন। এমনকি বিদায়কালে তিনি
জগদীশবাবুর কাছ থেকে একশ’ টাকা দক্ষিণা
গ্রহণ করেছিলেন।
সর্বত্যাগী
একজন যুগপুরুষের ধন সম্পদে মোহ থাকবে না, এটাই কাম্য। কিন্তু সন্ন্যাসী যেভাবে জগদীশবাবুর সংস্কারকে অবলম্বণ করে
প্রণামী গ্রহণ করেছেন, তা হরিদা মেনে নেননি। অভাব – অনটনকে সঙ্গী করেও হরিদা সবসময় তাঁর পেশায় শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, কখনই মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ উপার্জনে আগ্রহ দেখান নি। তাই ভন্ড সন্ন্যাসীর
আচরণকে তিনি ‘মজার’ বলে
বর্ণনা করেছেন।
_________________________________________________________________________
প্রশ্নঃ ‘খুব উঁচু দরের সন্ন্যাসী!’
– সন্ন্যাসীর পরিচয় দাও।
[প্রশ্নমান ৩]
উত্তরঃ
বাংলা
গদ্যসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রত্ন সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্প থেকে গৃহীত প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে
মহল্লার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি জগদীশবাবুর বাড়িতে আগত সন্ন্যাসীর কথা বলা হয়েছে।
গল্প
থেকে জানা যায়, এই সন্ন্যাসী
হিমালয়বাসী, তাঁর বয়স নাকি হাজার বছরের বেশি।
সর্বস্বত্যাগী এই সন্ন্যাসী সারাবছরে শুধু একটি মাত্র হরিতকি খান। তিনি এতটাই
উঁচুদরের যে কাউকে তাঁর পদধূলি গ্রহণ করতে দেন না।
জগদীশবাবু
তাঁর কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে পায়ের সামনে ধরলে সন্ন্যাসী পা এগিয়ে দিয়েছিলেন।
এইভাবে একমাত্র জগদীশবাবুই তাঁর পদধূলি লাভে সক্ষম হয়েছিলেন। এমনকি বিদায়কালে তিনি
জগদীশবাবুর কাছ থেকে একশ’ টাকা দক্ষিণা
গ্রহণ করেছিলেন।
সর্বত্যাগী
একজন যুগপুরুষের এহেন আচরণের মধ্য দিয়ে লেখক ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ীদের স্বরূপ পাঠকদের
সামনে তুলে ধরেছেন।
_________________________________________________________________________
প্রশ্নঃ
‘হরিদার উনানের আগুন তখন বেশ গনগনে হয়ে জ্বলছে’ – হরিদা কে ? উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য
লেখো।
[প্রশ্নমান
১ + ২ = ৩]
উত্তরঃ
সমাজ বাস্তবতার সার্থক রূপকার সুবোধ ঘোষ
প্রণীত ‘বহুরূপী’ ছোটোগল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন হরিদা। অভাব – অনটনকে সঙ্গী
করে জীবনযাপন করা প্রাণচঞ্চল এই মানুষটি পেশাগত দিক দিয়ে ছিলেন একজন বহুরূপী।
বহুরূপীর
মতো একটি প্রাচীন লোকশিল্পকে আশ্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করা খুব একটা সহজ ছিল না।
হরিদার ক্ষেত্রে ঠিক তাই হয়েছিল। একজন প্রতিভাবান শিল্পী হয়েও তিনি ভরণপোষণ ও দিনযাপনের
জন্য পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থানে অসমর্থ ছিলেন। কথক ও তাঁর বন্ধুদের মুখে জগদীশবাবুর
বাড়িতে হিমালয় প্রবাসী সন্ন্যাসীর আগমণ ও বিদায়কালে একশ’ টাকা প্রণামী ও সোনার বোল
লাগানো খড়ম প্রাপ্তির কথা শুনে তাঁর মাথায় অর্থ উপার্জনের এক কৌশল জেগে ওঠে। লেখক
এই কৌশল মাথায় আসার বিষয়টিকেই উনুনের গনগনে হয়ে ওঠার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
_________________________________________________________________________
প্রশ্নঃ
‘ঠিক দুপুরবেলা একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল’ – কোথায় হল্লা বেজে উঠেছিল ? ‘আতঙ্কের
হল্লা’ বেজে ওঠার কারণ কী ?
[প্রশ্নমান
১ + ২ = ৩]
উত্তরঃ
সমাজ
বাস্তবতার সার্থক রূপকার সুবোধ ঘোষ প্রণীত ‘বহুরূপী’ গল্পে আতঙ্কের হল্লা বেজে
উঠেছিল শহরের চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে ।
বহুরূপী
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদার পেশা ছিল বহুরূপী সেজে লোকের মনোরঞ্জন করে অর্থ
উপার্জন করা। একদিন দুপুরবেলা চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে হরিদা পাগল সেজে আবির্ভূত
হন। সেই বদ্ধ পাগলের মুখ দিয়ে লালা ঝরে পড়ছিল, তাঁর চোখদুটো ছিল কটকটে লাল, কোমড়ে
জড়ানো ছিল একটা ছেঁড়া কম্বল আর গলায় ঝুলছিল টিনের কৌটার একটা মালা। সেই বদ্ধ
পাগলটি একটা থান ইট তুলে বাসে বসে থাকা যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিল। এতেই আতঙ্কিত
হয়ে যাত্রীরা চিৎকার করছিল।
_________________________________________________________________________
প্রশ্নঃ
‘বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ ধমক দেয়’ – কাকে কাশীনাথ ধমক দিয়েছিল ? ধমক দেওয়ার কারণ
কী ?
[প্রশ্নমান
১ + ২ = ৩]
উত্তরঃ
সমাজ
বাস্তবতার সার্থক রূপকার সুবোধ ঘোষ প্রণীত ‘বহুরূপী’ গল্প থেকে গৃহীত প্রশ্নোদ্ধৃত
অংশে বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ বহুরূপী হরিদাকে ধমক দিয়েছিল ?
বহুরূপী গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদার পেশা ছিল বহুরূপী সেজে লোকের মনোরঞ্জন করে অর্থ উপার্জন করা। একদিন দুপুরবেলা চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে হরিদা পাগল সেজে আবির্ভূত হন। সেই বদ্ধ পাগলের মুখ দিয়ে লালা ঝরে পড়ছিল, তাঁর চোখদুটো ছিল কটকটে লাল, কোমড়ে জড়ানো ছিল একটা ছেঁড়া কম্বল আর গলায় ঝুলছিল টিনের কৌটার একটা মালা। সেই বদ্ধ পাগলটি একটা থান ইট তুলে বাসে বসে থাকা যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিল। এতেই আতঙ্কিত হয়ে যাত্রীরা চিৎকার করছিল। এমতাবস্থায় হরিদাকে চিনতে পেরে কাশীনাথ তাঁকে ধমক দিয়েছিল, কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, মজার ছলে হরিদার কৌতুক যাত্রীদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্কের সৃষ্টি করছে।_________________________________________________________________________
প্রশ্নঃ
‘হরির কান্ড’ – এখানে হরির কোন কান্ডের কথা বলা হয়েছে ? কান্ডটার সংক্ষিপ্ত পরিচয়
দাও।
[প্রশ্নমান
১ + ২]
উত্তরঃ
সমাজ বাস্তবতার সার্থক রূপকার সুবোধ ঘোষ
প্রণীত ‘বহুরূপী’ গল্পে এক সন্ধ্যায় বহুরূপী হরিদার রূপসী বাঈজি সেজে শহরের পথে
ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টিকেই ‘হরির কান্ড’ বলা হয়েছে।
হরিদার জীবন চলত বহুরূপের খেলা দেখিয়ে। তাঁর
বহুরূপী সাজে শহরের পথে ঘাটে প্রায়শই চমৎকারিত্বের সৃষ্টি করত। একদিন
সন্ধ্যাবেলায়, সবেমাত্র আলো জ্বলেছে, দোকানে দোকানে লোকজনের ব্যস্ততা আর মুখরতা
জমে উঠেছে, ঠিক তখনই পথের ওপর দিয়ে ঘুঙুরের মিষ্টিমধুর শব্দ শুনে কৌতূহলী নাগরিকবৃন্দ
দেখে একজন রূপসী বাঈজি নাচতে নাচতে চলেছে। এক একটা দোকানের সামনে গিয়ে সে দাঁড়িয়ে
মুচকি হাসে আর চোখ টিপে একটা ফুলসাজি এগিয়ে দিচ্ছিল। দোকানদারেরাও হেসে ফেলে একটা
করে সিকি পয়সা বাইজির ফুলসাজিতে দেয়। শহরে নবাগতরা চোখ বড়ো বড়ো করে এই দৃশ্য
দেখলেও অভিজ্ঞ ও পুরোনো দোকানদারেরা হেসে বলে – ‘হরির কান্ড’।
আরও
দেখোঃ
বহুরূপী
গল্পের MCQ
বহুরূপী
গল্পের সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নাবলী
বহুরূপী
গল্পের রচনাধর্মী প্রশ্নাবলী