প্রশ্নঃ “ভাবতে হয়েছে, তিনিদিন ধরে ভেবেছি” – বক্তা কে ? তিনি কি ভেবেছিলেন ? [প্রশ্নমান ১+৪=৫]
উত্তরঃ
হাল আমলের বাংলা কিশোর সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক তথা বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক মোতি নন্দী প্রণীত কিশোর উপন্যাস ‘কোনি’ থেকে প্রশ্নোদ্ধৃতাংশটি গৃহীত হয়েছে।
আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র তথা প্রথিতযশা সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ। তিনি বিষ্টুচরণ ধরকে উদ্দেশ্য করে উক্তিটি করেছিলেন।
বিষ্টুচরণ প্রচুর ধনসম্পদের মালিক হলেও তার বাস্তববুদ্ধি ছিল একটু কমজোরি। তার জীবনের একটাই স্বপ্ন – এম এল এ বিনোদ ভড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে রাজনৈতিক জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ। উচ্চাকাঙ্খী বিষ্টুচরণ ক্ষিতীশকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করত। ক্ষিতীশ ধীরে ধীরে বিষ্টুচরণের প্রধান পরামর্শদাতা হয়ে ওঠে। ক্ষিতীশ তার বক্তৃতা লিখে দেওয়া, বুদ্ধি জোগানোর মতো কাজগুলি করতেন।
একদিন ক্ষিতীশ বিষ্টু চরণের বাড়ি আসার পর বিষ্টু অত্যন্ত উদগ্রীবভাবে জানায় যে, কিছুক্ষণ আগে দর্জিপাড়া বয়েজ লাইব্রেরি থেকে লোকজন এসে বিষ্টুকে তাদের বার্ষিক অনুষ্ঠানে ‘চিফ গেস্ট’ করতে চায়। এখানে প্রেসিডেন্ট হবেন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিনোধ ভড়। কাজেই, ক্ষিতীশকে একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা লিখে দিতে হবে, যাতে তিনি বিনোদ ভড়কে ছাপিয়ে যেতে পারেন।
বিষ্টুর অনুরোধ শুনে ক্ষিতীশ বলেন, বিনোদকে হারাতে গেলে শুধু বক্তৃতায় কাজ হবে না; স্থায়ী সমাধান চাই। ক্ষিতীশ আরও বলেন, তিনি তিনদিন ভেবে স্থির করেছেন, বিনোদ ভড় যে যে সংস্থায় আছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলিতে বিষ্টুকে যোগ দিতে হবে। যেহেতু বিনোদ ভড় জুপিটারের প্রেসিডেন্ট, তিনি বিষ্টুকে অ্যাপেলোর সভাপতি হবার পরামর্শ দেন।
আসলে ক্ষিতীশের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল, সাঁতারু হিসেবে প্রতিভাময়ী কোনিকে প্রতিষ্ঠা পাইয়ে দেওয়া। কিন্তু জুপিটার কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে ক্ষিতীশকে বহিষ্কার করায়, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে কোনির প্রশিক্ষণ ব্যহত হচ্ছিল। বিকল্প হিসেবে তিনি জুপুটারের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপোলোর দারস্থ হন। তাই মূলত কোনির স্বার্থে ক্ষিতীশ বিষ্টুচরণ কে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।
প্রশ্নঃ “গাছে অনেক দূর উঠে গেছি। মই কেড়ে নিলে নামতে পারব না” – ‘গাছে উঠে যাওয়া’ বলতে বক্তা কী বুঝিয়েছেন ? এখানে ‘মই কেড়ে নেওয়া’র প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে কেন ? [প্রশ্নমানঃ ১+৪=৫]
উত্তরঃ
হাল আমলের বাংলা কিশোর সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক তথা বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক মোতি নন্দী প্রণীত কিশোর উপন্যাস ‘কোনি’ থেকে প্রশ্নোদ্ধৃতাংশটি গৃহীত হয়েছে। আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন বিষ্টুচরণ ধর।
বিষ্টুচরণ প্রচুর জীবনের একটাই স্বপ্ন – এম এল এ বিনোদ ভড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে রাজনৈতিক জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ। উচ্চাকাঙ্খী বিষ্টুচরণ ক্ষিতীশকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করত। ক্ষিতীশ তার বক্তৃতা লিখে দেওয়া, বুদ্ধি জোগানোর মতো কাজগুলি করতেন। ক্ষিতীশের উপর বিষ্টুচরণের নির্ভরশীলতাকেই ‘গাছে উঠে যাওয়া’ বলা হয়েছে।
‘মই কেড়ে নেওয়া’র অর্থ কোনো কাজে এগিয়ে দিয়ে পরে পেছন থেকে সরে যাওয়া। একদিন ক্ষিতীশ বিষ্টু চরণের বাড়ি আসার পর বিষ্টু অত্যন্ত উদগ্রীবভাবে জানায় যে, কিছুক্ষণ আগে দর্জিপাড়া বয়েজ লাইব্রেরি থেকে লোকজন এসে বিষ্টুকে তাদের বার্ষিক অনুষ্ঠানে ‘চিফ গেস্ট’ করতে চায়। এখানে প্রেসিডেন্ট হবেন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিনোধ ভড়। কাজেই, ক্ষিতীশকে একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা লিখে দিতে হবে, যাতে তিনি বিনোদ ভড়কে ছাপিয়ে যেতে পারেন।
বিষ্টুর অনুরোধ শুনে ক্ষিতীশ বলেন, বিনোদকে হারাতে গেলে শুধু বক্তৃতায় কাজ হবে না; স্থায়ী সমাধান চাই। ক্ষিতীশ আরও বলেন, তিনি তিনদিন ভেবে স্থির করেছেন, বিনোদ ভড় যে যে সংস্থায় আছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলিতে বিষ্টুকে যোগ দিতে হবে। যেহেতু বিনোদ ভড় জুপিটারের প্রেসিডেন্ট, তিনি বিষ্টুকে অ্যাপেলোর সভাপতি হবার পরামর্শ দেন। এজন্য ডোনেশন বাবদ দু’হাজার টাকা আর কোনির একটা সাঁতারের পোশাক কেনার জন্য একশ’ টাকা খরচ করতে হবে। পাশাপাশি দোকানের সেলামী বাবদ তাঁর স্ত্রী লীলাবতীর দেওয়া পাঁচ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে, নইলে তিনি আর বিষ্টুর হয়ে বক্তৃতা লিখবেন না।
নিজের আর্থিক ক্ষতি ও ক্ষিতীশের আরোপিত শর্তকেই বিষ্টু ‘মই কেড়ে নেওয়া’র সঙ্গে তুলনা করেছে।
প্রশ্নঃ ‘বিষ্টু তোতলা হয়ে গেল” – বিষ্টু কেন তোতলা হয়ে গেল ? [প্রশ্নমান ৫]
উত্তরঃ
হাল আমলের বাংলা কিশোর সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক তথা বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক মোতি নন্দী প্রণীত কিশোর উপন্যাস ‘কোনি’ থেকে প্রশ্নোদ্ধৃতাংশটি গৃহীত হয়েছে। বিষ্টুচরণ প্রচুর জীবনের একটাই স্বপ্ন – এম এল এ বিনোদ ভড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে রাজনৈতিক জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ। উচ্চাকাঙ্খী বিষ্টুচরণ ক্ষিতীশকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করত। ক্ষিতীশ তার বক্তৃতা লিখে দেওয়া, বুদ্ধি জোগানোর মতো কাজগুলি করতেন। ক্ষিতীশের উপর বিষ্টুচরণের নির্ভরশীলতাকেই ‘গাছে উঠে যাওয়া’ বলা হয়েছে।
‘মই কেড়ে নেওয়া’র অর্থ কোনো কাজে এগিয়ে দিয়ে পরে পেছন থেকে সরে যাওয়া। একদিন ক্ষিতীশ বিষ্টু চরণের বাড়ি আসার পর বিষ্টু অত্যন্ত উদগ্রীবভাবে জানায় যে, কিছুক্ষণ আগে দর্জিপাড়া বয়েজ লাইব্রেরি থেকে লোকজন এসে বিষ্টুকে তাদের বার্ষিক অনুষ্ঠানে ‘চিফ গেস্ট’ করতে চায়। এখানে প্রেসিডেন্ট হবেন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিনোধ ভড়। কাজেই, ক্ষিতীশকে একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা লিখে দিতে হবে, যাতে তিনি বিনোদ ভড়কে ছাপিয়ে যেতে পারেন।
বিষ্টুর অনুরোধ শুনে ক্ষিতীশ বলেন, বিনোদকে হারাতে গেলে শুধু বক্তৃতায় কাজ হবে না; স্থায়ী সমাধান চাই। ক্ষিতীশ আরও বলেন, তিনি তিনদিন ভেবে স্থির করেছেন, বিনোদ ভড় যে যে সংস্থায় আছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলিতে বিষ্টুকে যোগ দিতে হবে। যেহেতু বিনোদ ভড় জুপিটারের প্রেসিডেন্ট, তিনি বিষ্টুকে অ্যাপেলোর সভাপতি হবার পরামর্শ দেন। এজন্য ডোনেশন বাবদ দু’হাজার টাকা আর কোনির একটা সাঁতারের পোশাক কেনার জন্য একশ’ টাকা খরচ করতে হবে। পাশাপাশি দোকানের সেলামী বাবদ তাঁর স্ত্রী লীলাবতীর দেওয়া পাঁচ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে, নইলে তিনি আর বিষ্টুর হয়ে বক্তৃতা লিখবেন না।
নিজের আর্থিক ক্ষতি ও ক্ষিতীশের আরোপিত শর্তের কথা শুনে বিষ্টুর হতভম্ব অবস্থাকেই ‘তোতলা’ হয়ে যাওয়া বলা হয়েছে।