মাধ্যমিক বাংলা
Madhyamik Bengali
অভিষেক
অভিষেক কবিতার সংক্ষিপ্ত
উত্তরধর্মী প্রশ্নাবলী
প্রশ্নঃ ‘ঘুচাব এ অপবাদ, বধি রিপুকুলে’ –
এখানে কোন অপবাদের কথা বলা হয়েছে ? এই অপবাদ ঘোচানোর জন্য বক্তা কী প্রস্তুতি
নিয়েছিলেন ?
[প্রশ্নমান ১ + ২ = ৩]
উত্তরঃ
মাইকেল মধুসূদন
দত্তের অমর সৃষ্টি ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যের প্রথম সর্গ থেকে গৃহীত ‘অভিষেক’ শীর্ষক পাঠ্যাংশে
‘দশাননাত্মজ’ ইন্দ্রজিত ধাত্রীমাতা প্রভাষার ছদ্মবেশে আগতা রক্ষকুললক্ষ্মীর কাছ
থেকে প্রিয়ানুজ বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ ও স্বর্ণলঙ্কার অস্তিত্ব রক্ষায় স্বয়ং
দশাননের যুদ্ধ প্রস্তুতির কথা শুনে
আত্মধিক্কারে সোচ্চার হন। দেশ ও জাতির চরম সঙ্কটকালে প্রমোদউদ্যানে সস্ত্রীক সময়
কাটানো এবং শত্রুবেষ্টিত স্বর্ণলঙ্কাকে মুক্ত করতে সচেষ্ট না হওয়াকেই তিনি ‘অপবাদ’
বলে মনে করেছেন।
এই অপবাদ দূর করার
জন্য ইন্দ্রজিৎ শত্রুর হাত থেকে স্বর্ণলঙ্কার রক্ষার্থে রাঘবশ্রেষ্ঠর সঙ্গে সম্মুখ
সমরে উদ্যোগী হন।
প্রশ্নঃ ‘কণক আসন ত্যজি, বীরেন্দ্রকেশরী /
ইন্দ্রজিৎ’ - ইন্দ্রজিৎ কে ? তাঁর কণক আসন
ত্যাগ করার কারণ কী ?
[প্রশ্নমান ১ + ২ = ৩]
উত্তরঃ
মাইকেল মধুসূধণ
দত্ত রচিত ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যের প্রথম সর্গ থেকে গৃহীত ‘অভিষেক’ শীর্ষক কাব্যাংশে
ইন্দ্রজিৎ বলতে রাবণ – মন্দোদরীর বীরপুত্র মেঘনাদকে বোঝানো হয়েছে।
নিশারণে রাঘবশ্রেষ্ঠ রামচন্দ্রকে
পরাজিত করে ইন্দ্রজিৎ প্রমোদ উদ্যানে প্রিয়তমা পত্নী প্রমীলা ও সখীদের নিয়ে
প্রমোদবিহারে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে রক্ষকুললক্ষ্মী
সেখানে উপস্থিত হন। ধাত্রী প্রভাষা এই অপ্রত্যাশিত আগমনের কারণ জানার জন্য ও তাঁর
প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য ইন্দ্রজিৎ কণক আসন ত্যাগ করেছিলেন।
মধুসূদনের
ইন্দ্রজিৎ এখানে বিনয়, শ্রদ্ধা ও সৌজন্যবোধের প্রতীক হিসেবে প্রতিভাত হয়েছেন।