উত্তরঃ
ভারতে প্রাচীনকালে প্রধানত নদীকে কেন্দ্র করে নগর গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে জীবনধারণের উপযোগী বিভিন্ন অনুকূল পরিবেশে আধুনিক নগরগুলি গড়ে উঠেছে। শহর ও নগর গড়ে ওঠার কারণগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন –
[০১] অর্থনৈতিক কারণ
[০২] ধর্মীয় ও সামাজিক কারণ এবং
[০৩] প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক কারণ।
[০১] অর্থনৈতিক কারণঃ
[ক] উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা –
উন্নত পরিবহন যুক্ত অঞ্চলে জীবিকা অর্জনের সুযোগ থাকায় বহু মানুষের সমাগম ঘটে এবং নগর গড়ে ওঠে। যেমন – পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুর, কলকাতা ইত্যাদি শহর উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার জন্যই গড়ে উঠেছে।
[খ] শিল্পের প্রসার –
শিল্পকেন্দ্রগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে, যার আকর্ষণে জনসমাবেশ ঘটে ও শহর বা নগর গড়ে ওঠে। দুর্গাপুর, কানপুর, জামসেদপুর ইত্যাদি শহর এই কারণেই গড়ে উঠেছে।
[গ] ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার -
কোনো অঞ্চলে ব্যবসা – বাণিজ্যের প্রসার ঘটলে সেখানে বহু লোকের আনাগোনা হয় ও ধীরে ধীরে ওই অঞ্চলটি শহর বা নগরে পরিণত হয়। মুম্বাই, সুরাট, কোচি প্রভৃতি শহর বাণিজ্যের কারণেই গড়ে উঠেছে।
[ঘ] খনিজ উত্তোলন –
খনি অঞ্চলে জীবিকা অর্জনের প্রচুর সুযোগ সুবিধা থাকায় ধীরে ধীরে অঞ্চলটি শহর বা নগরে পরিণত হয়। যেমন – ধানবাদ, রানিগঞ্জ, ঝরিয়া ইত্যাদি।
[০২] ধর্মীয় ও সামাজিক কারণঃ
[ক] তীর্থক্ষেত্র –
ভারতের বিভিন্ন ধর্মস্থান ও তীর্থস্থানকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষের সমাগমের জন্য শহর বা নগর গড়ে ওঠে। যেমন – মথুরা, বারাণসী, আজমির, গয়া প্রভৃতি শহর।
[খ] সামাজিক উৎসব –
ভারতে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ বিভিন্ন মেলা বা সামাজিক উৎসবকে কেন্দ্র করে জীবনধারণের উপযোগী জনসমাবেশ গড়ে তোলে, যা ধীরে ধীরে শহর বা নগরে পরিণত হয়। যেমন – পুষ্কর, বেলুড়, দক্ষিণেশ্বর ইত্যাদি।
[০৩] প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক কারণঃ
[ক] প্রশাসনিক কেন্দ্র –
কোনো স্থানে প্রশাসন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে অর্থাৎ যেখানে আইন – আদালত অবস্থিত, সেখানে ধীরে ধীরে জনপদের আয়তন বৃদ্ধি পেতে পেতে শহরে পরিণত হয়। যেমন – চন্ডীগড়, নতুন দিল্লি, লখনউ ইত্যাদি।
[খ] ঐতিহাসিক স্থানঃ
কোনো ইতিহাসপ্রসিদ্ধ স্থানকে কেন্দ্র করে উন্নন পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে বড়ো জনপদ গড়ে ওঠে। যেমন – রাজগীর, গয়া, আগ্রা ইত্যাদি।
[গ] শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রঃ
কোনো স্থানে শিক্ষার সুযোগসুবিধার বিস্তার ঘটলে অনেক সময় খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জনপদের বিস্তার ঘটে এবং শহরে পরিণত হয়। যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে শান্তিনিকেতন শহর গড়ে উঠেছে।
ভারতে প্রাচীনকালে প্রধানত নদীকে কেন্দ্র করে নগর গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে জীবনধারণের উপযোগী বিভিন্ন অনুকূল পরিবেশে আধুনিক নগরগুলি গড়ে উঠেছে। শহর ও নগর গড়ে ওঠার কারণগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন –
[০১] অর্থনৈতিক কারণ
[০২] ধর্মীয় ও সামাজিক কারণ এবং
[০৩] প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক কারণ।
[০১] অর্থনৈতিক কারণঃ
[ক] উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা –
উন্নত পরিবহন যুক্ত অঞ্চলে জীবিকা অর্জনের সুযোগ থাকায় বহু মানুষের সমাগম ঘটে এবং নগর গড়ে ওঠে। যেমন – পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুর, কলকাতা ইত্যাদি শহর উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার জন্যই গড়ে উঠেছে।
[খ] শিল্পের প্রসার –
শিল্পকেন্দ্রগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে, যার আকর্ষণে জনসমাবেশ ঘটে ও শহর বা নগর গড়ে ওঠে। দুর্গাপুর, কানপুর, জামসেদপুর ইত্যাদি শহর এই কারণেই গড়ে উঠেছে।
[গ] ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার -
কোনো অঞ্চলে ব্যবসা – বাণিজ্যের প্রসার ঘটলে সেখানে বহু লোকের আনাগোনা হয় ও ধীরে ধীরে ওই অঞ্চলটি শহর বা নগরে পরিণত হয়। মুম্বাই, সুরাট, কোচি প্রভৃতি শহর বাণিজ্যের কারণেই গড়ে উঠেছে।
[ঘ] খনিজ উত্তোলন –
খনি অঞ্চলে জীবিকা অর্জনের প্রচুর সুযোগ সুবিধা থাকায় ধীরে ধীরে অঞ্চলটি শহর বা নগরে পরিণত হয়। যেমন – ধানবাদ, রানিগঞ্জ, ঝরিয়া ইত্যাদি।
[০২] ধর্মীয় ও সামাজিক কারণঃ
[ক] তীর্থক্ষেত্র –
ভারতের বিভিন্ন ধর্মস্থান ও তীর্থস্থানকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষের সমাগমের জন্য শহর বা নগর গড়ে ওঠে। যেমন – মথুরা, বারাণসী, আজমির, গয়া প্রভৃতি শহর।
[খ] সামাজিক উৎসব –
ভারতে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ বিভিন্ন মেলা বা সামাজিক উৎসবকে কেন্দ্র করে জীবনধারণের উপযোগী জনসমাবেশ গড়ে তোলে, যা ধীরে ধীরে শহর বা নগরে পরিণত হয়। যেমন – পুষ্কর, বেলুড়, দক্ষিণেশ্বর ইত্যাদি।
[০৩] প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক কারণঃ
[ক] প্রশাসনিক কেন্দ্র –
কোনো স্থানে প্রশাসন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে অর্থাৎ যেখানে আইন – আদালত অবস্থিত, সেখানে ধীরে ধীরে জনপদের আয়তন বৃদ্ধি পেতে পেতে শহরে পরিণত হয়। যেমন – চন্ডীগড়, নতুন দিল্লি, লখনউ ইত্যাদি।
[খ] ঐতিহাসিক স্থানঃ
কোনো ইতিহাসপ্রসিদ্ধ স্থানকে কেন্দ্র করে উন্নন পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে বড়ো জনপদ গড়ে ওঠে। যেমন – রাজগীর, গয়া, আগ্রা ইত্যাদি।
[গ] শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রঃ
কোনো স্থানে শিক্ষার সুযোগসুবিধার বিস্তার ঘটলে অনেক সময় খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জনপদের বিস্তার ঘটে এবং শহরে পরিণত হয়। যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে শান্তিনিকেতন শহর গড়ে উঠেছে।