প্রশ্নঃ জনন কাকে বলে ?
উত্তরঃ
জননের সংজ্ঞাঃ
যে জৈবনিক প্রক্রিয়ায় একটি জীবদেহ থেকে তারই আকৃতি ও প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এক বা একাধিক অপত্য জীব সৃষ্টি করে প্রজাতির অস্তিত্ব বজায় রাখে তাকেই জনন (Reproduction) বলে।
প্রশ্নঃ জননের গুরুত্ব কি ?
উত্তরঃ
জননের গুরুত্বঃ
(i) জনন প্রক্রিয়ায় জীব নিজের প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি করে। (ii) জীব নিজের অস্তিত্বকে তার সৃষ্ট জীবের মধ্যে বজায় রাখে।
(iii) পৃথিবীতে জীবজগতের ভারসাম্য বজায় থাকে।
(iv) সৃষ্ট জীবের মধ্যে নানা রকম বৈশিষ্ট্যের সমাবেশ ঘটে, তার
ফলে প্রজাতির মধ্যে প্রকরণ (Variation) দেখা যায়। এই প্রকরণ অভিব্যক্তিতে (Evolution) সহায়ক হয়।
(v) জীবদেহে পরিব্যক্তি (Mutation) ঘটে।
(vi) পৃথিবীতে জীবজগতের ভারসাম্য বজায় থাকে।
অঙ্গজ জনন- যে জনন প্রক্রিয়ায় জনিতৃ উদ্ভিদ অঙ্গের কোন অংশ দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি করে, তাকে অঙ্গজ জনন (Vegetative reproduction) বলে।
উদ্ভিদের অঙ্গজ জনন পদ্ধতি অঙ্গজ জনন দুরকমের হয়, যেমন- প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন ও কৃত্রিম অঙ্গজ জনন।
1. প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন (Natural vegetative reproduction)—
প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন বিভিন্ন প্রকারের।
[ক] অস্থানিক মুকুলঃ
অস্থানিক মুকুল বিভিন্ন প্রকৃতির হয়, যেমন কাণ্ডজ, মুলজ
ও পত্রাশয়ী প্রকৃতির।
(ক) কাণ্ডজ মুকুল গােলাপ, ডালিয়া প্রভৃতি উদ্ভিদের কাণ্ডের মুকুল থেকে নতুন উদ্ভিদ গঠিত হয়।
(খ) মুলজ মুকুলঃ
পটল, রাঙ্গাআলু প্রভৃতির কন্দাল মুল থেকে উৎপন্ন অস্থানিক মুকুল বিচ্ছিন্ন অপত্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে।
(গ) পত্ৰাশ্রয়ী মুকুলঃ
পাথরকুচি, বিগগানিয়া প্রভৃতি উদ্ভিদের পাতার কিনারায় অস্থানিক মুকুল জন্মায়। এই পত্রাশ্রয়ী মুকুল থেকে নতুন অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়।
[খ] ভূনিম্নস্থ কাণ্ডঃ
আদা ও হলুদের গ্রন্থিকাণ্ড, পেঁয়াজের কন্দ, আলুর স্ফীতকন্দ এবং ওলের গুড়িকন্দ প্রভৃতি ভূনিম্নস্থ পরিবর্তিত কাণ্ডে (Underground stem) অঙ্গজ জনন দেখা যায়।
[গ] কন্দাল মূলঃ
রাঙ্গা আলু, ডালিয়া, শতমুলী প্রভৃতি সঞ্চয়ী মূল থেকে অস্থানিক মুকুল সৃষ্টি হয়। এদের মূলজ মুকুল বলে। এই মুকুলগুলির নিচের দিকে মূল উৎপন্ন হয়। এরা নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টিতে সক্ষম। এরা কন্দাল মূল (Tuberous root) নামে পরিচিত।
[ঘ] অর্ধায়ব কাণ্ডঃ
থানকুনি, শুশনি, চন্দ্রমল্লিকা প্রভৃতি উদ্ভিদের পাতার কক্ষ থেকে উৎপন্ন ধাবকের নতুন পর্বে মূল ও পাতা জন্মায়। এগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।
[ঙ] বুলবিলঃ
চুপড়ি আলুর কাক্ষিক মুকুল অতিরিক্ত খাদ্য সঞ্চয় করার ফলে স্ফীত ও গােলাকার বুলবিলে (Bulbil) রূপান্তরিত হয়। বুলবিল পরিণত অবস্থায় মাটিতে খসে পড়ে অনুকুল পরিবেশে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করে। কন্দপুষ্পের (Globba) পুষ্পমঞ্জরীর নিচের দিকের ফুল বুলবিল গঠন করতে পারে। প্রত্যেকটি বুলবিল নতুন উদ্ভিদ গঠন করে।
উদ্ভিদের অঙ্গজ জনন পদ্ধতি অঙ্গজ জনন দুরকমের হয়, যেমন- প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন ও কৃত্রিম অঙ্গজ জনন।
1. প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন (Natural vegetative reproduction)—
প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন বিভিন্ন প্রকারের।
[ক] অস্থানিক মুকুলঃ
অস্থানিক মুকুল বিভিন্ন প্রকৃতির হয়, যেমন কাণ্ডজ, মুলজ
ও পত্রাশয়ী প্রকৃতির।
(ক) কাণ্ডজ মুকুল গােলাপ, ডালিয়া প্রভৃতি উদ্ভিদের কাণ্ডের মুকুল থেকে নতুন উদ্ভিদ গঠিত হয়।
(খ) মুলজ মুকুলঃ
পটল, রাঙ্গাআলু প্রভৃতির কন্দাল মুল থেকে উৎপন্ন অস্থানিক মুকুল বিচ্ছিন্ন অপত্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে।
(গ) পত্ৰাশ্রয়ী মুকুলঃ
পাথরকুচি, বিগগানিয়া প্রভৃতি উদ্ভিদের পাতার কিনারায় অস্থানিক মুকুল জন্মায়। এই পত্রাশ্রয়ী মুকুল থেকে নতুন অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়।
[খ] ভূনিম্নস্থ কাণ্ডঃ
আদা ও হলুদের গ্রন্থিকাণ্ড, পেঁয়াজের কন্দ, আলুর স্ফীতকন্দ এবং ওলের গুড়িকন্দ প্রভৃতি ভূনিম্নস্থ পরিবর্তিত কাণ্ডে (Underground stem) অঙ্গজ জনন দেখা যায়।
[গ] কন্দাল মূলঃ
রাঙ্গা আলু, ডালিয়া, শতমুলী প্রভৃতি সঞ্চয়ী মূল থেকে অস্থানিক মুকুল সৃষ্টি হয়। এদের মূলজ মুকুল বলে। এই মুকুলগুলির নিচের দিকে মূল উৎপন্ন হয়। এরা নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টিতে সক্ষম। এরা কন্দাল মূল (Tuberous root) নামে পরিচিত।
[ঘ] অর্ধায়ব কাণ্ডঃ
থানকুনি, শুশনি, চন্দ্রমল্লিকা প্রভৃতি উদ্ভিদের পাতার কক্ষ থেকে উৎপন্ন ধাবকের নতুন পর্বে মূল ও পাতা জন্মায়। এগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।
[ঙ] বুলবিলঃ
চুপড়ি আলুর কাক্ষিক মুকুল অতিরিক্ত খাদ্য সঞ্চয় করার ফলে স্ফীত ও গােলাকার বুলবিলে (Bulbil) রূপান্তরিত হয়। বুলবিল পরিণত অবস্থায় মাটিতে খসে পড়ে অনুকুল পরিবেশে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করে। কন্দপুষ্পের (Globba) পুষ্পমঞ্জরীর নিচের দিকের ফুল বুলবিল গঠন করতে পারে। প্রত্যেকটি বুলবিল নতুন উদ্ভিদ গঠন করে।