মাধ্যমিক প্রস্তুতি 2021, Madhyamik Bengali 2021 মাধ্যমিক বাংলা Madhyamik
Bengali অদল বদল
প্রশ্নঃ “কিন্তু অর কপাল ভালো, দিনটি ছিল হোলির” –
‘কপাল ভালো’ বলার কারণ কী ? হোলির দিন বলে কেন কপাল ভালো বলা হয়েছে ? [প্রশ্নমান ১
+ ২ =৩]
উত্তরঃ
গুজরাতি সাহিত্যজগতের মানবতাবাদী লেখক পান্নালাল প্যাটেল রচিত ও
অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত অনূদিত ‘অদল বদল’ গল্প থেকে প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি নেওয়া
হয়েছে।
কোনো এক হোলির পড়ন্ত বিকেলে সমবয়সি কিছু বালকের সঙ্গে বাদানুবাদ ও
মারামারিতে জড়িয়ে ইসাবের নতুন জামার খানিকটা ছিঁড়ে যায়। বাড়িতে ফিরে বাবার
সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার ভয়ে উদ্বিগ্ন ইসাবকে দেখে অমৃত ব্যথিত হয় ও নিজের নতুন জামাটি
একপ্রকার জোর করেই ইসাবকে দিয়ে নিজে সেই ছেঁড়া জামাটি পড়ে নেয়। বাড়িতে ফিরে এলে
অমৃতর মা ছিঁড়ে যাওয়া জামা দেখে সামান্য বিরক্তি প্রকাশ করেন ঠিকই, কিন্তু বকাঝকা
না করেই ছেঁড়া জায়গাটা রিফু করে দেন। নতুন জামা ছিঁড়ে যাওয়ায় মায়ের যে প্রতিক্রিয়া
প্রত্যাশিত ছিল, তার বহিঃপ্রকাশ না হওয়াকেই ‘কপাল ভালো’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
আসলে হোলির দিন রাস্তায় বেরোলে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে
অল্পবিস্তর ধাক্কাধাক্কি টানা – হ্যাচড়া
চলে এবং তাতে জামা ছিঁড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতেই পারে। তাই অমৃতের মনে হয় মা এই
বিশেষ দিনটির কথা ভেবেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নি। অমৃত এক অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির
শিকার হয়েছে মাত্র, সে ইচ্ছাকৃত ভাবে জামা ছিঁড়ে আনেনি, এটা বাস্তব। অন্যদিন হলে
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মা নিশ্চিতভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতেন। তাই দিনটি হোলির
হওয়ায় আক্ষরিকভাবেই অমৃতের ‘কপাল ভালো’ ছিল।
প্রশ্নঃ ‘ও আমাকে শিখিয়েছে খাঁটি জিনিস কাকে বলে’ – ‘ও’ কে ?
উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কাকে, কিভাবে খাঁটি জিনিস চিনতে শিখিয়েছে ? [প্রশ্নমান ১ + ২ =
৩]
উত্তরঃ
গুজরাতি সাহিত্যজগতের মানবতাবাদী লেখক পান্নালাল প্যাটেল রচিত ও
অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত অনূদিত ‘অদল বদল’ গল্প থেকে প্রশ্নোদ্ধৃত অংষে ‘ও’ বলতে
ইসাবের বন্ধু অমৃতের কথা বলা হয়েছে।
কোনো এক হোলির পড়ন্ত বিকেলে সমবয়সি কিছু বালকের সঙ্গে বাদানুবাদ ও
মারামারিতে জড়িয়ে ইসাবের নতুন জামার খানিকটা ছিঁড়ে যায়। বাড়িতে ফিরে বাবার
সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার সামনে পড়তে হবে, এই ভেবে ভয়ে উদ্বিগ্ন ইসাবকে দেখে অমৃত
ব্যথিত হয় ও নিজের নতুন জামাটি একপ্রকার জোর করেই ইসাবকে দিয়ে নিজে সেই ছেঁড়া
জামাটি পড়ে নেয়। সে ইসাবকে এই বলে আশ্বস্ত করে যে, তার বাড়িতে বাবার প্রতিক্রিয়া
তীব্র হলেও তাকে রক্ষা করার জন্য, মা এগিয়ে আসবেন। অথচ মাতৃহীনা ইসাবের সেই সুযোগ
নেই।
পাড়ার ছোট্ট গলিতে যখন এইসব কান্ড – কারখানা চলছিল, ইসাবের বাবা
হাসান আড়াল থেকে তা পর্যবেক্ষণ করেন। হাসান অমৃতের এই নিখাদ বন্ধুত্বের উদারতায়
মুগ্ধ হন। তার নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব, সংবেদনশীল মনোবৃত্তি ও উদারতাকে হাসান ‘খাঁটি
জিনিস’ বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রশ্নঃ ‘তখন ওদের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার জোগাড়’ – ওরা কারা ?
ওদের এমন পরিস্থিতির কারণ কী ? [প্রশ্নমান ১+২]
উত্তরঃ
মানবতাবাদী গুজরাতি সাহিত্যিক পান্নালাল প্যাটেল রচিত ও
অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত অনূদিত ‘অদল বদল’ গল্প থেকে প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে ‘ওরা’ বলতে
দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধু অমৃত ও ইসাবকে বোঝানো হয়েছে।
কোনো এক হোলির দিনের পড়ন্ত বিকেলে দুই অভিন্নহৃদয় বন্ধু অমৃত ও
ইসাব নতুন কেনা জামা পড়ে শান বাঁধানো ফুটপাথে এসে বসলে সমবয়সী কালিয়ে এসে অমৃতকে
কুস্তি লড়ার প্রস্তাব দেয়। অমৃত বিবাদে জড়িয়ে পড়তে চায়নি ও কালিয়ার প্রস্তাব
প্রত্যাখ্যান করে। কালিয়া তখন বলপূর্বক অমৃতকে টেনে মাটিতে ফেলে দেয়। ইসাব এই ঘটনা
সহ্য করতে না পেরে কালিয়াকে তার সঙ্গে কুস্তি লড়তে বলে ও তাকে ল্যাং মেরে মাটিতে ফেলে
দেয়। এই ধ্বস্তাধস্তির মধ্যেই ইসাবের নতুন জামাটি বেশ খানিকটা ছিঁড়ে যায়।
সম্প্রতি মাঠে কাজ করতে গিয়ে ইসাবের জামা ছিঁড়ে যাওয়ায় ইসাবের
বাবা, দরিদ্র প্রান্তিক কৃষক হাসান মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে জামাটি বানিয়ে
দিয়েছিলেন। এই ছেঁড়া জামা গায়ে চাপিয়ে বাড়িতে ফিরে গেলে বাবা তীব্র প্রতিক্রিয়া
ব্যক্ত করবে, এই ভেবে দুই বন্ধুর এমন অবস্থা হয়েছিল।
প্রশ্নঃ ‘এই আশঙ্কা করে তারা চলে যেতে চাইল’ – তারা বলতে কাদের কথা
বলা হয়েছে? তাদের কীসের আশঙ্কা কেন হয়েছিল? [প্রশ্নমান ১+২]
উত্তরঃ
মানবতাবাদী গুজরাতি সাহিত্যিক পান্নালাল প্যাটেল রচিত ও
অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত অনূদিত ‘অদল বদল’ গল্প থেকে প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে ‘তারা’ বলতে
দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধু অমৃত ও ইসাবকে বোঝানো হয়েছে।
কোনো এক হোলির পড়ন্ত বিকেলে সমবয়সি কিছু বালকের সঙ্গে বাদানুবাদ ও
মারামারিতে জড়িয়ে ইসাবের নতুন জামার খানিকটা ছিঁড়ে যায়। বাড়িতে ফিরে বাবার
সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার সামনে পড়তে হবে, এই ভেবে ভয়ে উদ্বিগ্ন ইসাবকে দেখে অমৃত
ব্যথিত হয় ও নিজের নতুন জামাটি একপ্রকার জোর করেই ইসাবকে দিয়ে নিজে সেই ছেঁড়া
জামাটি পড়ে নেয়। সে ইসাবকে এই বলে আশ্বস্ত করে যে, তার বাড়িতে বাবার প্রতিক্রিয়া
তীব্র হলেও তাকে রক্ষা করার জন্য, মা এগিয়ে আসবেন। অথচ মাতৃহীনা ইসাবের সেই সুযোগ
নেই।
পাড়ার ছোট্ট গলিতে যখন এই অদলবদলের কান্ড – কারখানা চলছিল, তখন
আড়াল থেকে গ্রামের একটি ছেলে সবকিছু লক্ষ্য করে। সন্ধ্যার সময় দুই বন্ধু অমৃত ও
ইসাব যখন হাত ধরাধরি করে গ্রামের ধারে হোলির বাজি আর বুড়ির বাড়ি পোড়ানো দেখতে গেল,
তখন সেই ছেলেটি ওদের আনন্দ মাটি করার জন্য বলল, জামা অদলবদল করার ঘটনাটি সে
দেখেছে।
তাদের জামা অদল বদল করার ঘটনা সবাই জেনে যেতে পারে, এই আশঙ্কা করেই
তারা চলে যেতে চেয়েছিল।
প্রশ্নঃ ‘আজ থেকে আপনার ছেলে আমার’ – বক্তা কাকে কেন একথা বলেছেন ?
[প্রশ্নমান ১ + ২= ৩]
উত্তরঃ
মানবতাবাদী গুজরাতি সাহিত্যিক পান্নালাল প্যাটেল রচিত ও
অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত অনূদিত ‘অদল বদল’ গল্প থেকে প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে ইসাবের বাবা
হাসান, অমৃতের মাকে ‘বাহালি বৌদি’ সম্বোধন করে উক্তিটি করেছেন।
কোনো এক হোলির পড়ন্ত বিকেলে সমবয়সি কিছু বালকের সঙ্গে বাদানুবাদ ও
মারামারিতে জড়িয়ে ইসাবের নতুন জামার খানিকটা ছিঁড়ে যায়। বাড়িতে ফিরে বাবার
সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার সামনে পড়তে হবে, এই ভেবে ভয়ে উদ্বিগ্ন ইসাবকে দেখে অমৃত
ব্যথিত হয় ও নিজের নতুন জামাটি একপ্রকার জোর করেই ইসাবকে দিয়ে নিজে সেই ছেঁড়া
জামাটি পড়ে নেয়। সে ইসাবকে এই বলে আশ্বস্ত করে যে, তার বাড়িতে বাবার প্রতিক্রিয়া
তীব্র হলেও তাকে রক্ষা করার জন্য, মা এগিয়ে আসবেন। অথচ মাতৃহীনা ইসাবের সেই সুযোগ
নেই।
পাড়ার ছোট্ট গলিতে যখন এইসব কান্ড – কারখানা চলছিল, ইসাবের বাবা
হাসান আড়াল থেকে তা পর্যবেক্ষণ করেন। হাসান অমৃতের এই নিখাদ বন্ধুত্বের উদারতায়
মুগ্ধ হন। তার নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব, সংবেদনশীল মনোবৃত্তি ও উদারতায় মুগ্ধ হয়ে
হাসান উক্তিটি করেছিলেন।
প্রশ্নঃ ‘আমাকে বাঁচানোর জন্য তো আমার মা আছে’ – কার উক্তি ? এমন
উক্তির কারণ কী ? [প্রশ্নমান ১ + ২= ৩]
উত্তরঃ
মানবতাবাদী গুজরাতি সাহিত্যিক পান্নালাল প্যাটেল রচিত ও
অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত অনূদিত ‘অদল বদল’ গল্প থেকে প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি করেছে
অমৃত।
কোনো এক হোলির পড়ন্ত বিকেলে সমবয়সি কিছু বালকের সঙ্গে বাদানুবাদ ও
মারামারিতে জড়িয়ে ইসাবের নতুন জামার খানিকটা ছিঁড়ে যায়। বাড়িতে ফিরে বাবার
সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার সামনে পড়তে হবে, এই ভেবে ভয়ে উদ্বিগ্ন ইসাবকে দেখে অমৃত
ব্যথিত হয় ও নিজের নতুন জামাটি একপ্রকার জোর করেই ইসাবকে দিয়ে নিজে সেই ছেঁড়া
জামাটি পড়ে নেয়। সে ইসাবকে এই বলে আশ্বস্ত করে যে, তার বাড়িতে বাবার প্রতিক্রিয়া
তীব্র হলেও তাকে রক্ষা করার জন্য, মা এগিয়ে আসবেন। অথচ মাতৃহীনা ইসাবের সেই সুযোগ
নেই।
অমৃত জানে মাতৃস্নেহ সন্তানকে প্রশয় দেয়। সে জানে, নতুন জামা ছিঁড়ে
ফেলা তাদের মতো দরিদ্র পরিবারের কাছে যতই অপরাধের হোক না কেন, মায়ের কাছে সন্তানের
মূল্য তার চেয়ে অনেক বেশি। মাতৃহীন ইসাব মায়ের এই স্নেহ বঞ্চিত, তাই তার কাছে এই
সুযোগ ছিল না। তাই প্রিয় সুহৃদ ইসাবকে বাবার তিরস্কারের হাত থেকে রক্ষা করতে নিজের
মায়ের প্রতি অগাধ আস্থা রেখে অমৃত উক্তিটি করে।